শেখ মোস্তফা কামাল,কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের কেশবপুরে দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে উভয় পরিবারের অবিভাবকদের ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১১ জুলাই) সন্ধায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এক ছাত্রীর পিতাকে এবং আর এক ছাত্রীর ভাইকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জানা গেছে, উপজেলার গৌরিঘোনা গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪০) এর ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মিকশিমিল এলাকার ইবাদত আলী বিশ্বাসের ছেলে ইউছুফ আলীর সঙ্গে সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে এবং একই গ্রামের পীর মোহাম্মদের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের জাহিদ হোসেনের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম এম আরাফাত হোসেন সোমবার (১১জুলাই) সন্ধ্যায় ওই দুই ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হন। এ সময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বাবা রবিউল ইসলামকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও একই গ্রামের পীর মোহাম্মদের ৭শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর ভাই আব্দুল কায়েম (২৩) কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কেশবপুর থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে উভয় পরিবারের ২ অবিভাবকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি নির্মূলে সমাজের সব শ্রেণি পেশা মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন। যেকোন ভাবেই আমাদের সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২জনকে মঙ্গলবার সকালে যশোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।